ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিস্তৃত হয়, নিজের অসহায়ত্বের অনুভূতি এবং আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ে; বিশ্বাসে অবিচলতা আসে। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকার মানুষের সাথে মেলামেশার ফলে মানুষের মানসিকতার পরিধি বিস্তৃত হয়, এবং মানুষ জাতীয়তাবাদের ক্ষুদ্রতা থেকে উত্তরণ করে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের স্বাদ আস্বাদন করতে সক্ষম হয়।
যেখানে সৎ উপার্জনের সংস্থান সম্ভব না হয়, পরিবারকে সৎ পথে পরিচালনা করা সম্ভব না হয়, নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, অথবা অন্যায়-অত্যাচার-উৎপীড়ন সহ্য করা অপরিহার্য হয়ে যায়, সেখানে প্রয়োজন হলে দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। কারণ, ‘সবাই ঘুস খেত বলে আমিও খেতাম; সংসার চালাতে পারতাম না বলে ঘুস খেতাম; পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে ঘুস খেতাম’—এমন বাহানাগুলো আল্লাহর সামনে গ্রহণযোগ্য হবে না।
অসহায়ত্বের শিকার হয়েই হোক, বা শিক্ষাগ্রহণের মানসেই হোক, দেশত্যাগী এই মানুষগুলো সাধারণত দেশকে বড়ই ভালোবাসে। বিদেশ-বিভুঁইয়ে এসব মানুষের নানারকম সুখ-দুঃখের কাহিনি নিয়ে আমার এবারের উপস্থাপনা— পৃথিবীর পথে পথে । জীবনের এই জীবন্ত সব ঘটনাগুলোকে আমি চেষ্টা করেছি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে এবং সহজভাবে তুলে ধরতে। ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করাই আমার মূল লক্ষ্য। আপনাদের ভালো লাগাই আমার শ্রমের সার্থকতা নির্দেশ করে।